অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র জমি মিউটেশন করা হয়েছে। বিতর্কের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর প্রতীচী’র সীমানাবর্তী ১৩ ডেসিমেল জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন করে দিয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, ওই ১৩ ডেসিমেল জমিসহ মোট ১ দশমিক ৩৮ একর জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন করা হয়েছে। ফলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অমর্ত্য সেনকে বাড়ি উচ্ছেদের যে নোটিশ দিয়েছিল, তা কার্যত অর্থহীন হয়ে গেলো।
এদিকে, নাছোড়বান্দা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, মিউটেশন করা হলেও সেই ১৩ ডেসিমেল জমির মালিকানা এখনো বিশ্বভারতীর। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও দাবি করে, শুধু ওই জমির ইজারাদার আশুতোষ সেনের জায়গায় অমর্ত্য সেনের নাম দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চিঠিও দিয়েছে।
অমর্ত্য সেন সম্পর্কে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যে ভাষায় কথা বলেছেন, তাতে বিস্মিত পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার।
তিনি বলেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এরকম হীনমন্যতার পরিচয় দিতে পারে, তা খুব অস্বাভাবিক ও বিস্ময়কর। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বা এটির উপাচার্য কেন এত সক্রিয়ভাবে অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ দিলেন, তা নিয়ে আমি সত্যিই সন্দিহান। আমার ধারণা অমর্ত্য সেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
পবিত্র সরকার আরও বলেন, অমর্ত্য সেন কেন্দ্রীয় সরকারের নানা নিয়ম-নীতির সমালোচনা করেন। অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর উপাচার্য কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নির্বাচিত অর্থাৎ বিজেপি তাকে এখানকার উপাচার্য করেছে। তাই বলে অমর্ত্য সেনের প্রতি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এরকম বিদ্বেষমূলক ও হিংসাত্মক আচরণ করতে পারেন না। বিষয়টি বাঙালি হিসেবে আমাকে লজ্জিত করে।
Leave a Reply